১.বাঁশুরিয়া
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়, গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
এ শহরে এসছো তুমি কবে কোন রাজ্য থেকে, তোমাদের দেশে বুঝি সব মানুষই বাঁশি শেখে?
আমাদের স্কুল কলেজে শেখে লোকে লেখাপড়া, প্রাণে গান নাই মিছে তাই রবি ঠাকুর মূর্তি গড়া।
তোমার ওই দেহাতি গান........
তোমার ওই দেহাতি গান দোলে যখন বাঁশির মুখে, আমদের নকল ভন্ড কৃষ্টি চালায় করাত বুকে।
বুকে আর গলায় আমার শহর কলকাতায়.....গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়..........
ঠেলা ভ্যান চালাও তুমি কিম্বা ভাড়া গাড়ির ক্লিনার, ক' বছরে একবার যাও তোমার দেশে নদীর কিনার।
ফাক পেলে বাঁশি বাজাও ফেলে আসা ঘরের ডাকে, দেশে গিয়ে এমন সুরে হয়তো ডাকো কলকাতাকে।
ফিরে এসে উদম খাটো গায়ে গতরে ব্যস্ত হাতে, মজুরীতে ভাগ বসাচ্ছে কারা তোমার কলকাতাতে?
তাদেরই গাইয়ে আমি সাজানো জলসায়..............গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
বাঁশুরিয়া............
বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশি দেখিনা তোমায়..........গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।
০২.ইচ্ছে হ'ল
ইচ্ছে হ'ল একধরনের গঙ্গা ফরিং, অনিচ্ছেতেও লাফায় খালি তিরিং বিরিং। ।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের বেড়ালছানা, মিহি গলার আবডারে সে খুব সেয়ানা।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের মগের মুলুক, ইচ্ছে হাওয়ায় অনিচ্ছেটাও দুলছে দুলুক।।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের আতশবাজি, রাতটাকে সে দিন করে দেয় এমন পাজী।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের দস্যি মেয়ে, দুপুরবেলা দাদুর আচার ফেললো খেয়ে।।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের পদ্য লেখা, শব্দে সুরে ইচ্ছে ক'রে বাঁচতে শেখা।।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের পাগালা জগাই, হটাৎ করে ফেলতে পারে যা খুশি তাই।
ইচ্ছে হ'ল একধরনের স্বপ্ন আমার, মরবো দেখে বিশ্ব জুড়ে যৌথ খামার।
১০.নবাব নবাবী করে
নবাব নবাবী করে, নেতা নেতাগিরি, ট্রেনে ট্রেনে গান গায়, বাউল ভিখিরী।।
দালাল তোয়াজ করে, দাদা গাজোয়ারী, রিকশায় শিষ দেয় জোয়ান সওয়ারি।
যুবকরা প্রেম করে, পৌঢ়রা ঘর, ঘরে ঘরে হানা দেয় বাজারের দর।।
মানুষ...........
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে, ছেলেমেয়েগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে।
খেলোয়ার খেলে আর দেখোয়ার দেখে, এত দেখে তবু লোকে পদে পদে ঠেকে।
লেখকরা লেখে আর প্রকাশক ছাপে, সাহিত্য মরে পূজো সংখার চাপে।
বেকার চাকরি খোঁজে প্রমটার প্লট, ধর্মের ষার খোঁজে হিং টিং ছট।
মানুষ...........
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে, ছেলেমেয়েগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে।
নাচিয়েরা নেচে নেয়, বাঁচিয়েরা বাঁচে, বাঁচবে কি করে লোকে নিভে যাওয়া আঁচে?
তবলিয়া ঠেকা দেয়, আঁকিয়েরা রঙ, তালে তাল দিয়ে যায়, হ্যা হ্যা বলা সং।
থলি হাতে যায় লোকে অলিতে গলিতে, জীবন আসলে বাঁধা পাকস্থলিতে।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে, ছেলেমেয়েগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে।
মানিয়েরা মেনে নেয় একধার থেকে, কেউ কেউ যায় তবু প্রতিবাদ রেখে।
নাইয়েরা স্নান করে, গাইয়েরা গান, পাইয়েরা পেয়ে যায়, খাইয়েরা খান।
ছেলেরা আড্ডা দেয়,
ছেলেরা আড্ডা দেয়, গোয়ালীনী ঘূঁটে, মিছিমিছি কালি দেয়, যারা হিংসুটে।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে, ছেলেমেয়েগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে।
বক্তা বকনি মারে, ভাত মারে কারা, রাজনীতি দিয়ে ঢাকা কাদের চেহারা?
কেউ ছোড়ে হাতবোমা, কেউ বা প্রণামী, গান ছুড়ে ছুড়ে করি টাকার গোলামী।
গোলাম মালিক খোঁজে,
গোলাম মালিক খোঁজে, মালিক গোলাম,
গোলাম মালিক খোঁজে, মালিক গোলাম, গোলাম হোয়েও আমি গেয়ে রাখলাম।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে, ছেলেমেয়েগুলো যেন থাকে দুধে ভাতে।
Sonar Medel- Purnendu potri
14 years ago
0 comments:
Post a Comment