০২.পাড়ার ছোট্ট পার্ক
রেলিঙে শুকোয় শাড়ি, পাঁচিলে শুকোয় ঘুঁটে
ঘাসগুলো সব শুকিয়ে শুকিয়ে, শেষবেষ গেছে উঠে।
পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পড়োয়া করেনা সবুজ বাচ্চাগুলো।
বেঞ্চিগুলোর কাঠ, রোদে পুড়ে জলে ভিজে
সমকাল এসে বসেছে সেখানে, আহত প্রেমিক সেজে।
বেঞ্চিগুলোর কাঠ, রোদে পুড়ে জলে ভিজে
সমকাল এসে বসেছে সেখানে, একা চ্যাপলিন সেজে।
পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পড়োয়া করেনা সবুজ বাচ্চাগুলো।
লোহার গেটের পাশে, উনুন ধরায় কারা
রেলিং ঘেসেই সংসার করে, ক'জন বাস্তুহারা।
একটু দুরেই আছে, ক্যাচক্যাচে টিপকল
পড়ন্তবেলা বালতিকে বলে, চলরে জলকে চল।
এদিকে ওদিকে দেখ, কিছু গাছ আছে বাকি
এই আকালেও আনাগোনা করে নাছোরবান্দা পাখি।
পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পড়োয়া করেনা সবুজ বাচ্চাগুলো, বিবর্ণ গাছগুলো।
বিবর্ণ গাছগুলো, ধুলোয় ধূসর পাতা
বেগতিক দেখে ক্লান্ত সময়, গোটায় জামার হাতা।
পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পড়োয়া করেনা সবুজ বাচ্চাগুলো।
ল্যাম্পপোষ্টের বাল্ব, গুলতির ঢিলে ভাংগা
এটাকে ঘিরে খেলছে মেয়েরা, খেলছে কুমীর ডাংগা।
চোর চোর খেলা হলে, ল্যাম্পপোষ্ট হয় বুড়ি
ভাদ্দুরে রোদে এটাই হাতায়, নিরুদ্দিষ্ট ঘুড়ি।
বিকেলবেলার রোদে, বাচ্চার ভীর বারে
খেলতে খেলতে পরে যাওয়া ছেলে, প্যান্টের ধুলো ঝারে।
বাস্তুহারার খুঁকি, মেটায় খেলার সাধ
ঘাস উঠে যাওয়া ধূসর পার্কে, শিশুর সাম্যবাদ।
পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো
ঘাসের অভাব পড়োয়া করেনা সবুজ বাচ্চাগুলো।
সবু.........জ বাচ্চাগুলো।
১২.পাখিটা
পাখিটা যে গাছটায় বসে, গাছটা যে মাটিতে দাড়িয়ে
সে মাটি এখনো খুব কষে, ধরে সব দু'হাত বাড়িয়ে।
ফরিং টা যে ঘাসের চেনা, ঘাসটা গজায় যে মাটিতে
সে মাটি এখনো চাইছেনা, মুঠোটা আলগা করে দিতে।
বাতাস যে জলে ডুব দেয়, জলটা যে মাটিতে জমেছে
সে মাটি এখনো খোঁজ নেয়, কার জল কোথায় কমেছে।
মানুষ যে মাটিকে কাঁদালো, লুট করে মাটির জীবন
সে মাটি শুভেচ্ছা পাঠালো, ঘাসের সবুজে প্রাণপন।
০৫.ঘুমোয় বাউন্ডুলে
কে বেশি পাগল, কবি না কবিতা? দরকার নেই সেই, হিসেব দেবার
ঘুমোয় বাউন্ডুলে, ঘুমোয় এবার।
কে বেশি মাতাল, কবি না কবিতা? মহুয়ার দায় নেই, হিসেব দেবার
ঘুমোয় বাউন্ডুলে, ঘুমোয় এবার।
কে বেশি ক্লান্ত কবি না কবিতা? কবিতার ক্লাস শেষ এবারের মত
কে বেশি বোঝাবে কবি না কবিতা? বাউন্ডুলেটা কোন ছন্দে বোঝাত?
কে বেশি অবুঝ, কবি না কবিতা? পদ্যের দায় নেই হিসেব দেবার
ঘুমোয় বাউন্ডুলে, ঘুমোয় এবার।
১৩.সঞ্জীব পুরোহিত
সঞ্জীব পুরোহিত হাটলেন, চাকরি পাবেন এই ভরসায়
মাথায় চাবুক মারে রোদ্দুর, মধ্যদিনে গান বন্ধ করেছে পাখি
সূর্য আকাশটাকে ঝলসায়।
সঞ্জীব পুরোহিত হাটলেন, হাটার পরীক্ষায় আন্তিম
চাকরির এই হল শর্ত, মধ্যদিনে গান বন্ধ করেছে পাখি
সূর্যের চোখ আরও রক্তিম।
সঞ্জীব পুরোহিত হাটলেন, ভাইভা ভসির পর হন্টন
পঁচিশ কিলোমিটার শর্ত, পঁচিশ কিলোমিটার হন্টন
মধ্যদিনে গান বন্ধ করেছে পাখি, তাদেরও শরীর করে টনটন।
অগ্নি পরীক্ষার অন্তে, চাকরির ছিমছাম চুক্তি
সঞ্জীব পুরোহিত হাটলেন, মধ্যদিনে গান বন্ধ করেছে পাখি
ভাবছে এ কোন দেশী যুক্তি?
বাহাদুর সঞ্জীব পুরোহিত, তাগদের পরীক্ষা ফুরোল
চাকরির ন'টে গাছ মুড়োল,মধ্যদিনে গান থামিয়ে ভাবছে পাখি
তবে কি বাছার প্রাণ জুরোল?
সঞ্জীব আর হাটবেননা, কোনদিনই আর কোন সড়কে
দরকার নেই আর চাকরির, সারাদিন ধরে পাখি গুমরে গুমরে গায়
অপমৃত্যুর গান মড়কে।
সঞ্জীব পুরোহিত হাটলেন, চাকরি পাবেন এই ভরসায়।
Sonar Medel- Purnendu potri
14 years ago
0 comments:
Post a Comment